শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

আমির হোসেন ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের ১০নং নৈকাঠি এস হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের থেকে জানাগেছে, ১৯৯৯ সালে চার কক্ষ বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। একটি কক্ষে অফিস আর তিনটি কক্ষে দুই শিফটে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ছয় শ্রেনীর পাঠদান চলে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ৯৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নির্মাণের পর থেকে এই ভবনটি একাধিক বার সংস্কার করা হয়েছে।

গত কয়েক মাস আগেও এই ভবনটি সংস্কার করায় বাহির থেকে দেখে ফিটফাট মনে হলেও বর্তমানে ভবনটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ভবনের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। ভবনের পিলার ও সিলিংয়ের পলেস্তারা খসে পরে লোহার রড বের হয়ে গেছে। বর্ষাকালে ছাদ থেকে পানি পরে। বিদ্যালয়ে অন্যকোন ভবন না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যেই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলকর্তৃপক্ষ। এখন যে কোন সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা সব সময় অতঙ্কে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বর্তমানে অবিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পায়। এ কারনে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী সাইমুন হোসেন, সোয়াইব হাসান, আবির আহম্মেদ, রাবেয়া বসরী জানায়, ক্লাসরুমে মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা খসে আমাদের শরীরে পরে। ভয়ে আমাদের অনেক সহপাঠি এখন স্কুলে আসে না।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবিভাবক মোজাম্মেল তালুকদার, মরিয়ম বেগম, সুলতান মাঝী, সেলিম জমাদ্দার জানায়, স্কুলের ভবনটি জরাজীর্ণ, যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। তাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শফিউল আলম জানান, ভবনটি নির্মাণের সময়ই অনিয়ম হয়েছে। ভবনটির বর্তমান যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। তাই ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা জরুরী হয়ে পরেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা শিরিণ জানান, ভবনের এ অবস্থা দেখে ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চায়না। দিনে দিনে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অবিভাবকদের মধ্যেও ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে অনিহা দেখা দিয়েছে। তাই এই ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনার পাশাপাশি একটি নতুন ভবন জরুরী হয়ে পড়েছে।

রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কথা উপর মহলে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান আসেনি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD