বাকের সরকার বাবর।।
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান অফিস সম্মুখে আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে ৷ গত ২৬ জুলাই বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম যোগদান করার পর, তারই ইচ্ছায় এই ভাস্কর্য নির্মানের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশ্যেসিং নব গঠিত ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিয়ন অফিস পরিদর্শনে এলে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হালিমসহ কমান্ডিং স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পুলিশ সুপার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ভাস্কর্য করার প্রস্তাব করেন এবং জায়গা নির্ধারনের জন্য সরেজমিনে দেখার অনুরোধ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ট্যুরিস্ট পুলিশ অফিসের প্রবেশ মুখে গোল চত্বরের মাজখানে ভাস্কর্য নির্মানের অনুমতি প্রদান করা হয়। পার্বত্য মন্ত্রী বলেন ভাস্কর্যের একটি নান্দনিক দিক রয়েছে, এটি একটি শিল্প। জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মান করা হচ্ছে যাতে করে তাঁর আদর্শ ও চেতনাকে এই দেশের ভবিষ্যত বা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যায়, জাগরুক রাখা যায়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম সূচনা বক্তব্যে জাতির পিতা উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমি সুদান মিশন এরিয়াতে ইতিমধ্যে জাতির পিতাকে পরিচিতি করার উদ্দেশ্যে নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহণ করি, এরেই আলোকে ট্যুরিস্ট খ্যাত বান্দরবানে নানা পর্যটক আসায় তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ্য সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে এই ভাস্কর্য নির্মান করা হবে। ভাস্কর্য হচ্ছে স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে এবং মানবপ্রেম ও মানবসেবায় ব্রতী হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানেই বাংলাদেশ, তাকে পরিচয় করিয়ে মানেই বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এই ইউনিটের প্রধানের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট গুলোতে বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৈশহ্লা, বান্দারবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি সহ জেলার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।
Leave a Reply