আবুল কালাম আজাদ।।
কসবার সন্তান মোহাম্মদ আব্দুল হালিম গত ২৬ জুলাই বান্দরবান রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশ এ পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি বিভিন্ন জেলা ও সার্কেলেসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পলিসি পর্যায়ে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত কর্মরত আছেন। বিসিএস পুলিশের ২৪তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ২০০৫ সালে সহকারি পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা । এর আগে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কমান্ডার হিসাবে দারফুর কর্মরত ছিলেন। এর আগে পুলিশ সদরদপ্তর ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। তাছাড়া তিনি পুলিশের মাঠ প্রশাসনে সহকারি পুলিশ সুপার সদর, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সার্কেল, সহকারি পরিচালক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে গাজীপুর, পঞ্চগড়, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ জেলায় কাজ করেছেন। পাশাপাশি র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন কর্মকর্তা হিসেবে র্যাব সদর দপ্তর ও র্যাব-৪, ১০ এ সহকারি পরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে সম্মান ও মাস্টার্স করেছেন। জাপান সরকারের জেডিএস স্কলারশীপ নিয়ে জাপানের কোবে ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেছেন। তিনি মালোয়েশিয়া ও ভারতে আইন শৃংখলা বিভিন্ন কোর্স করেছেন। ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি দেশে বিদেশে নানান বিষয়ে তথা মানব পাচার রোধ, জেন্ডার ইক্যোলিটি, ডমিস্টিক ভায়োলেন্স রোধ, ড্রাগস নিয়ন্ত্রণ, শান্তিরক্ষক বিষয়ক ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালীন অধ্যায়নরত বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য ২০০০ সালে “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান” নামে অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ২০১০ ও ২০১৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিভিন্ন দেশে সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন।
.
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের সন্তান। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক; তাঁর সহধর্মীনী নাদিয়া আমিন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ২৭ তম ব্যাচের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে ঢাকায় কর্মরত আছেন। উনার বাবা ২ নং সেক্টরের অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একমাত্র চাচা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা যার কবর কসবার কোল্লাপাথরে রয়েছে। উনার শ্বশুর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৯৭৩ বিসিএস ব্যাচের এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব ছিলেন।
.
তিনি ২০১৯-২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদান দারফুরে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার হিসাবে অত্যন্ত সম্মান ও কৃতিত্ব এর সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ৩৫টি এওয়ার্ড সার্টিফিকেট পেয়ে রেকর্ড গড়েছেন। তিনি সর্বপ্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এলাকায় বাংলাদেশের পক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে ক্যাম্প, হল, কর্নার নির্মানসহ বাংলাদেশ কে বিশ্বের দরবারে অনন্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার নানা কর্মসূচি পালন করেছিলেন। তার এই কর্মসূচি গুলো নানা আন্তর্জাতিক ও দেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তিনি নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন, এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটক শিল্প রক্ষায় পর্যটকদের নিরাপত্তার করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করবেন মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply