শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
নারায়ণগঞ্জে ভোট শুরু

নারায়ণগঞ্জে ভোট শুরু

নিউজ ডেস্ক।।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এটি তৃতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার রয়েছেন পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। প্রচার-প্রচারণায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও এ নির্বাচনকে ঘিরে এখন পর্যন্ত কোনও সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি)। এ ছাড়া সিটির ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা মনে করছেন, মেয়র পদে মূল লড়াইটা হবে আইভী ও তৈমুরের মধ্যে।

জানা গেছে, মোট ভোটারের দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ ও দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন নারী। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের চার জন ভোটার রয়েছেন। নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের ১৯২ কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ কক্ষে ভোটগ্রহণ চলবে। এ জন্য নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। শনিবার দুপুর থেকে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯২ কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘সবগুলো কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় রেখে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন পরিচালনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৯ জন। তারা হলেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, বন্দর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল কাদির, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউসুফ উর রহমান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের নির্বাচন কর্মকর্তা প্রতিভা বিশ্বাস, আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুলতানা এলিন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ ও ডেমরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা আল-আমিন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ১৯২ কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়োজিত আছেন। প্রতি কেন্দ্রে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬ জন সদস্য। পুলিশের ২৭ ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আছেন। এ ছাড়া পুলিশের ৬৪টি মোবাইল টিম; প্রতি টিমে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য আছেন। নির্বাচনি মাঠে র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স ৩, চেকপোস্টে ছয়, টহলে সাত ও দুটি স্ট্যাটিক টিম আছে। এ ছাড়া এই নির্বাচনে আছে বিজিবির ২০ প্লাটুন সদস্য।

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন নির্বাচনি এলাকায় কাজ করবেন তারা। এ ছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে থাকবেন ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাত থেকে নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনও যান্ত্রিক বাহন চলাচলও নিষিদ্ধ। এ ছাড়া নির্বাচনি এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৯ সংস্থার ৪২ পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংস্থাগুলো হলো-জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, রিহাব ফাউন্ডেশন, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন এবং মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস)।

এদিকে, টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খান আহমেদ শুভ (নৌকা), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রূপা রায় চৌধুরী (ডাব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি)।

টাঙ্গাইল-৭ আসনে মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ১২১টি ভোটকেন্দ্রের ৭৫৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী, যশোর জেলার ঝিকরগাছা, নাটোর জেলার নাটোর ও বাগাতিপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৬ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে ১৬ জন স্বতন্ত্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যরা বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এসব স্থানে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD