শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
বিচারক কামরুন্নাহারের ক্ষমতা প্রত্যাহার, আদালতে না বসার নির্দেশ

বিচারক কামরুন্নাহারের ক্ষমতা প্রত্যাহার, আদালতে না বসার নির্দেশ

নিউজ ডেস্কঃ
ছবিঃ সংগৃহীত
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিরা আলোচনাক্রমে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে হতে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন। তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর দেশে আলোচিত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে আদালত পুলিশের উদ্দেশে ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ ধর্ষণের মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেন। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল রিলেশনে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

বিচারপতির এমন বক্তব্য অসাংবিধানিক বলে শনিবার প্রতিক্রিয়া জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে ওই বিচারকের পাওয়ার সিজ (ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া) করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবেও বলে জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেছেন, অবজারভেশনে তিনি (আইনজীবী) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেজন্য আগামীকাল প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লিখছি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD