আবুল খায়ের স্বপন।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বৃহত্তর সুহিলপুর গরু মহিষের হাঁটে পায় ১৫জেলা হতে আগত খামারীরা আশানুরূপ অধিক দামে বিক্রির জন্য সুহিল পুর বাজারে আসে ঈদ উল আযহার কোরবানির পশুর হাটে। কিন্তু লকডাউনে গরুর মহিষ এর হাট বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় আছে বিক্রেতা।খোঁজ নিয়ে জানা যায় সুহিল পুর গরু মহিষের হাঁট পায় দের কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন হাজী আনোয়ার ভূঁইয়া। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সরকারি নির্দেশে এখন হাঁট বন্ধ তাই ক্রেতা শূণ্যতায় বাজার। এদিকে বাংলাদেশের পাবনা,ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া,মেহের পুর, রাজশাহী, সিলেট সহ ১০-১৫টি জেলা হতে মহিষ নিয়ে আশানুরূপ অধিক দামে বিক্রির জন্য বৃহত্তর সুহিলপুর গরু-মহিশের হাঁটে এসেছেন খামারী ও কৃষকরা। নবপত্রিকা ডটকম প্রতিবেদককে জানান রাজশাহী হতে আগত আসমত(৫২) বলেন আমি ৩৫টি মহিষ নিয়ে ২০দিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৃহত্তর সুহিলপুর গরু-মহিশের হাঁটে এসেছি। এখন বাজার বন্ধ তাই এগুলোর দেখা শুনা ও আমার থাকা খাওয়া সব মিলিয়ে কষ্টে আছি সরকার হাঁট খুলে দেক স্বাস্থ্য বিধি মেনে। পাবনার কৃষক শেখ আজিজ(৬৬)বলেন আমি একজন কৃষক ।১৩টি মহিষ নিয়ে বাজারে এসেছি। এখন দুশ্চিন্তায় আছি বাজার বন্ধ। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হুগলবাড়ি ইউনিয়নের আল্লাহর দান গ্রামের ঐ এলাকার স্হানীয় মেম্বার রোক্তার মিয়া বলেন সুহিল পুর বাজারে ২০দিন আগে এসেছি ৪২টি মহিশ নিয়ে । এখন সরকারি নির্দেশে বাজার বন্ধ তাই ১টি মহিষ ও বিক্রি করতে পারি নাই। সরকারের কাছে অনুরোধ গরু মহিষের হাঁট খুলে দেওয়া হোক আমরা এখন দুশ্চিন্তায় আছি। আরেকজন সেলিম (৪০)।সে পাবনা জেলা হতে ১২টি মহিষ নিয়ে এসেছে সুহিলপুর বাজারে। সেলিম জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুহিলপুর বাজারে অধিক দামে বিক্রির জন্য এসেছি পাবনা জেলা হতে।আরো বলেন যদি আমি মহিষ গুলো বিক্রি করতে না পারি তাহলে আমার বসত বাড়ি বিক্রি করতে হবে।
Leave a Reply