রহিদুল ইসলাম রাইপ,
নওগাঁ প্রতিনিধি :
নওগাঁর রাণীনগরে কঠোর লকডাউনকে সফল করার লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে চলছে শিক্ষকদের “টিম ওয়ার্ক”। লকডাউনকে ঘিরে সরকারের বিধিনিষেধকে সফল করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি এবারই প্রথম মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন শিক্ষক সমাজ।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামের মোড়ের চা-স্টলে, ছোট ছোট সাপ্তাহিক হাট ও বাজারে আসা মানুষদের লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে শিক্ষকরা কাজ করছেন।
এছাড়া বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের হওয়া মানুষদের বুঝিয়ে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া, লকডাউন চলাকালীন সময়ে কোন দোকানগুলো খোলা রাখা যাবে আর কোনগুলো খোলা রাখা যাবে না ইত্যাদি বিষয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক করার পাশাপাশি সচেতন করছেন সমাজের দর্পন শিক্ষকরা। গ্রামের যেসব মানুষরা মাস্ক ছাড়াই বাহিরে বের হচ্ছেন সেই সব মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে ও নিজের আশেপাশের মানুষকে রক্ষা করতে অবশ্যই পালনীয় স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক পড়ার বিষয়ে সচেতন করছেন। এছাড়াও মাস্ক বিহীন মানুষদের মাস্ক প্রদান করা হচ্ছে। জেলার অন্য কোথাও শিক্ষকদের এমন কর্মকান্ড চোখে না পড়লেও রাণীনগর উপজেলায় গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩টি ওয়ার্ড মিলে স্থানীয় পর্যায়ের ২০জন শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত ১টি করে দল গঠন করা হয়েছে। আর প্রতিটি দলের কার্যক্রমকে আরো বেগবান ও পর্যবেক্ষন করতে উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে ওই দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো ও সহকারি কমিশনার (ভ’মি) রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২টি ভ্রাম্যমান আদালত প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। এতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হচ্ছেন।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুক্রবার উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডের চৌমুহনী বাজার, শলিয়া গ্রামে, দেউলিয়া বাজারে ও আকনা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আশিষ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে শিক্ষকদের টিম ওয়ার্ক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সহকারি কমিশনার (ভ’মি) রাশেদুল ইসলামের ভ্রাম্যমান দলও টিম ওয়ার্কে অংশগ্রহণ করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন- মাননীয় খাদ্য মন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ও জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে শিক্ষকরাও লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। সবার সহযোগিতায় অন্যান্য উপজেলার চেয়ে রাণীনগর উপজেলায় লকডাউন শতভাগ সফল হচ্ছে বলে আমি মনে করি। এই কয়েক দিনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরাও অনেকটাই সচেতন হওয়ার কারণে লকডাউনকে সফল করার লক্ষ্যে গৃহিত কর্মকান্ডগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সমাজের সকল স্তরের মানুষদের অভ’তপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
Leave a Reply