নিউজ ডেস্ক।।
রাজধানী ঢাকায় বসবাস করা শিশুদের খেলাধুলার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে খেলার সুযোগ কম। শিশুরা ফ্ল্যাটে বাস করে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মায়েদের অনুরোধ করবো, কিছু সময়ের জন্য যেন তারা খেলতে পারে, এমন ব্যবস্থা করতে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
বুধবার (১১ মে) জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যোগ দেন সরকারপ্রধান।
২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গত আট বছরের জন্য ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয় ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে। এদের মধ্যে ৩৯ জন ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান, এখন থেকে প্রতি বছর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হবে।
খেলাধুলা ও সংস্কৃতির চর্চা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ কারণে শিশুদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। গ্রামীণ খেলাগুলো আমাদের চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সহায়তা করছি। আমরা চাই, আমাদের এ খেলাগুলো আরও এগিয়ে যাক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। ক্রীড়াঙ্গনের খেলোয়াড়, সংগঠক এবং যারা আনুষঙ্গিক থাকেন প্রত্যেকে যদি সবসময় মনে এ চিন্তা করেন, বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা কখনও পরাজিত হবো না। পরাজয় মেনে নেব না। আমাদের জয়ী হতেই হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে আমাদের জাতীয় দলগুলো দক্ষতা দেখাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় তারা বারবার অংশ নিচ্ছেন, স্বর্ণপদক, রোপ্যপদক, তাম্র পদক পাচ্ছেন ও চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেন, রানার্স আপ হয়েছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কর্মসূচির ধীরগতিতে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করি। ইতোমধ্যে ১৮৬টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ১৭১টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আমি মনে করি এ ব্যাপারে যথেষ্ট সময় নেওয়া হচ্ছে। যাতে আর সময় না নেওয়া হয় সেটা দেখতে হবে।
ক্রীড়াঙ্গনে জাতির জনকের অবদানের কথা তুলে ধরে তার কন্যা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের যেভাবে গড়ে তুলেছিলেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি উন্নয়নের ছাপ রেখে গেছেন। জাতির পিতা খেলাধুলা পছন্দ করতেন ও উৎসাহ দিতেন
Leave a Reply