ইব্রাহিম খলিল শিমুল, নোয়াখালী
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার যুগ্ন-আহ্বায়ক ছাত্রলীগ নেতা রুমম চঁন্দ্র দাসের একটি ফেইজবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মানসিক প্রতিবন্ধী রুপা আক্তার (১১) এর ৪ দিন পর সন্ধান পেয়েছে তার বাবা-মা।
সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার ০৬নং চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ড়ের আজিজিয়া কচ্ছ মার্কেট সংলগ্ন মো. জামাল উদ্দিন হেন্জুর বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়া রুপাকে তার মায়ের হাতে তোলে দেওয়া হয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার যুগ্ন-আহ্বায়ক রুমন চঁন্দ্র দাস, মহিলা মেম্বারের প্রতিনিধি মো. ছানা উল্যাহ, মো. জামাল উদ্দিন হেন্জু, মো. মহিম, মো. রাশেদ চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল শিমুল’সহ আরো অনেকে।
রুপার বাড়ি সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড় চর হাসান ভূঁইয়ার হাট গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী মো. ইউছুপের বাড়ির মো. সাহাব উদ্দিনের মেয়ে।
ছাত্রলীগ নেতা রুমন চঁন্দ্র দাস জানান, গত (৩১ জুলাই) চর আমান উল্যাহ গ্রামের মো. জামান উদ্দিন (হেন্জু) আমাকে খবর দিলে মেয়ের ছবি ও তার বাবা-মা’র নাম ও নিচে আমার মোবাইল নাম্বার যুক্ত করে সামাজিক মিডিয়া (ফেইজবুকে) একটি স্ট্যাটাস দিলে রুপার অভিভাবকরা আমার সাথে যোগাযোগ করেন। পরে আমি এটি স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে অবহিত করি।
রুপা আক্তারের মাতা খতিজা খাতুন জানান, গত (৩০ জুলাই) আমার মেয়ে রুপা আক্তার নিজ বাড়ি থেকে একটি ঝাঁড়ু ও দুইটি তক্তা (কাঠ) নিয়ে আনুমানিক সকাল ৯ টার দিকে বেরিয়ে আসে। চর্তুরদিকে খোঁজাখুঁজি করে মাইকিং করার পরেও সন্ধান পায়নি। পরবর্তীতে একটি ফেইজবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়ার ৪ দিন পর সন্ধান পেয়েছি।
স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. বেলায়েত হোসেন জানান, হারিয়ে যাওয়া রুপাকে তার অভিভাবকরা নিতে আসলে রূপার জন্মনিবন্ধন ও তার বাবা-মা’র জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি তদন্ত করে এবং সব কিছু মিলিয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সেখানকার স্থানিয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে সাদা কাগজে একটি নোট করে স্বাক্ষরিত ভাবে তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply