ছবি: সংগৃহীত
বাকের সরকার বাবর।।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবিলায় বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে আরো দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে এ সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে বুধবার (১৮ নভেম্বর) আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।
সংশোধিত বিধিমালায় ‘জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জরুরি নিয়োগ’ সংক্রান্ত বিধিতে বলা হয়েছে, এই বিধিমালা বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধিমালাতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩০০ নম্বরের (এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা ২০০ নম্বর ও ১০০ নম্বরের মৌখিক) পরীক্ষার মাধ্যমে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের এন্ট্রি লেভেল পদে এককালীন নিয়োগ দিতে পারবে।
এছাড়া ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় মেডিকেল সায়েন্স বিষয়ে ১০০ নম্বর, বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলী ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ২০ নম্বর, মানসিক দক্ষতা ১০ ও গাণিতিক যুক্তি ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
প্রতিটি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর কমিশন নির্ধারণ করবে। মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর হবে ৫০।
নতুন করে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে এ সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল পিএসসি।
এর আগে ২০১৮ সালে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বিধি সংশোধন করা হয়েছিল।
করোনা পরিস্থিতে চিকিৎসকের জরুরি সংকট মোকাবিলায় গত ৩০ এপ্রিল দুই হাজার চিকিৎসককে সাময়িকভাবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল পিএসসি। ৩৯তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষা, ২০১৮ এর ফলাফলের ভিত্তিতে পিএসসি’র সুপারিশ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী সার্জন পদে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওই দিন সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে পাঁচ হাজার ৫৪ জনও নিয়োগের সুপারিশ করে কমিশন। দুই হাজার চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়ে গত ১০ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
Leave a Reply