ফাইল ছবি
নিউজ পেস্কঃ
ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে প্রতি বছর সেশন ফি নয়- চার বছর আগে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে, প্রতিটি জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং দেশীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতির আবহে পালন করা এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ প্রখ্যাত বাঙালি কবি-সাহিত্যিকদের রচনাবলির সঙ্গে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা ছিল, সেটি বহাল রয়েছে।
এছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাষা শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের বিষয়টি জানানোর নির্দেশনাটিও বহাল রয়েছে। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি) আবেদন গ্রহণ করে গতকাল রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত চার বিচারপতির ভাচুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। ২০১৭ সালের ২৫ মে ১৭ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে সে বছরই লিভ টু আপিল করেন গ্রিন ডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ।
অভিভাবকদের করা একটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল এক আদেশে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুনঃভর্তি ফি বা সেশন চার্জ আদায় থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত রাখার নির্দেশনাসহ রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ফ্রিস্টাইলে চলছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে এ বিষয়ে নীতিমালার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আরেকটি রিট আবেদন করেন দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক। শুনানি নিয়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে মাসিক বেতন, পুনঃভর্তি ফি বা সেশন চার্জ আদায়ের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি এবং তদারক সেল গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- এ মর্মে রুল জারি করে আদালত।
দুটি রুলের ওপর একসঙ্গে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৫ মে রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় ভর্তি বা সেশন ফির নামে অর্থ আদায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি ১৭টি নির্দেশনা আসে রায়ে।
ডিএজি সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, যে ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছিল হাইকোর্ট তার মধ্যে একটি (সেশন ফি সংক্রান্ত) নির্দেশনা ছাড়া বাকি সবগুলো নির্দেশনা স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। আর প্রতিটি জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং দেশীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতির আবহে পালন করা, জাতির জনক, ভাষা শহীদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবগাথা ও স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস শিক্ষার্থীদের জানানোর যে নির্দেশনা ছিল সেটি বহাল রয়েছে। শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এলে আপিলের ওপর শুনানি হবে।
Leave a Reply