বিশেষ প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গৃহবধূ রহিমা বেগমকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। উপজেলার মেঘশিমুল গ্রামের গৃহবধূ রহিমা বেগমকে ধর্ষণের পর গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেফতাররা হলেন, বিজয়নগর উপজেলার গলিমোড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে আরশাদুল ইসলাম প্রকাশ সুরুজ মিয়া ও নিদারাবাদ গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সালাউদ্দিন প্রকাশ সালু।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আসামপাড়া গুচ্ছ গ্রামের ফজার আলীর বাড়ি থেকে সুরুজ মিয়া ও তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে নিজ বাড়ি থেকে সালুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার সকালে গ্রেফতারদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলামের আদালতে সোপর্দ করলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বিজয়নগর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের শিশা জালালাপুর গ্রামের পুকুর পাড় রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গৃহবধূর গলায় বেল্ট পেঁচানো ছিলো। এ ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুই যুবককে গ্রেফতার করে। প্রথমে তারা পুলিশের কাছে এবং পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে একজনের সঙ্গে ওই নারীর পূর্ব থেকেই পরিচয় ছিলো। সেই সুবাদে তারা ওই নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর রহিমার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেন
Leave a Reply