মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
কুলিয়ায় রাস্তা আছে কিন্তু হাটা যায় না

কুলিয়ায় রাস্তা আছে কিন্তু হাটা যায় না

নিজস্ব প্রতিবেদক

জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার কুলিয়া উত্তর পাড়ায় রাস্তা থাকলেও কার্যত চলাচলে অনুপযোগী যানবাহন দূরের কথা হেটেও যাওয়ার কোন উপায় নেই। মনু মেকার বাড়ি মোড় থেকে গহের আলী মাদ্রাসা হয়ে মসজিদ মোড় পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মিটার কাচা রাস্তাটিতে দীর্ঘদিন কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় রাস্তাটির বেহাল দশা হয়ে গেছে।

জানা যায়,বিগত কয়েক বছরের বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারনে ছোট, বড়,মাঝারি গর্তের সৃষ্টি হলে দৃশ্যমান সংস্কার না হওয়ায় ধীরে ধীরে রাস্তাটি অকজু হয়ে পড়ে,বিশেষ করে বর্ষার সময় হালকা বৃষ্টি হলেই পানি জমে কাদা হয়ে হাটার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।ফলে, চলাচলে গ্রামটির চারশতাধিক পরিবারকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, গত জানুয়ারি মাসে শুনলাম এই রাস্তা পাঁচ ফুট উচুকরনের কাজ শুরু হবে,কিন্তু কাজের বাস্তবায়ন হয়নি। প্রতিপ্রতিবছর বন্যায় ডুবে যাওয়া আমাদের ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়, হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন জায়গায় হাটু-পানি জমে থাকায় যাতায়াতে বিঘ্ন ঘাটছে। গ্রামটির চার শতাধিক পরিবারের প্রায় সবাই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করায় তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য নির্ধারিত সময়ে বিক্রি করতে পারে না। টনকি থেকে মোল্লাপাড়া পর্যন্ত উঁচু কাচা রাস্তা হলেও প্রায় ৪০০ মিটার এই রাস্তাটি প্রতিবছর বন্যায় চার থেকে পাঁচ ফুট পানির নিচে ডুবে থাকে।ফলে গ্রামটির সবাই পানিবন্দি জীবনযাপন করে।এই রাস্তাটি মাটি দিয়ে উচু করে পাশের রাস্তায় সংযোগ দিলেই বন্যার সময়ও মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে এবং পরবর্তী টনকি পর্যন্ত পাকাকরণ হলে যে কোন যানবাহনে এলাকার সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে।
স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন জানান, আমাদের উত্তর কুলিয়া গ্রামটি খুবই অবহেলিত এলাকা মনে হচ্ছে। কুলিয়া গ্রামের অন্যান্য রাস্তা পাকা হলেও আমাদের এই রাস্তাটিতে মাটিও কাটা হয় না।বিভিন্ন জায়গায় বন্যা-পরবর্তী যে রাস্তা মেরামত কাজ হয় বিগত কয়েক বছরে আমাদের সেটাও হয় না।
আমাদের চলাচলের দীর্ঘদিনের কষ্ট গুলো এখনো গেলো না। এই পর্যন্ত আমাদের দেখা অনেক জন-প্রতিনিধি’রা আসছে আর গেছে কিন্তু এখনো আমাদের দুঃখ-কষ্ট গুলো যায়নি। নির্বাচনের পুর্বে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক প্রতিশ্রুতি দিলেও অন্যান্য প্রতিশ্রুতির সাথে এ সড়কটির নাজুক অবস্থা দেখেও এড়িয়ে চলছেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন গ্রামের মানুষেরা মৌসুমের ধান বিভিন্ন যানবাহনে নিয়ে যায় কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই আর যাওয়ার উপায় থাকে না। এ সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী এবং রোগী সহ এলাকার জন সাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD