রাজশ্রী
কলকাতা প্রতিনিধি
কয়েকদিন আগেই ভার্চুয়ালি ঝা চকচকে জেলা পার্টি অফিসের উদ্বোধন করেছিলেন জে পি নাড্ডা৷ গোষ্ঠী কোন্দলে সেই অফিসেই ভাঙচুর চালালেন দলীয় কর্মীরা৷ আদি- নব্য দ্বন্দ্বে রীতিমতো ইটবৃষ্টি চলল বিজেপি-র দুই গোষ্ঠীর কর্মীদের মধ্যে৷ আগুন লাগানো হল বেশ কয়েকটি গাড়িতে৷ যে ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমানে৷ দলের পুরোন এবং নতুন কর্মীদের মধ্যে এই বিবাদের জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির৷ বিজেপি নেতাদের অবশ্য অভিযোগ, বিজেপি-র পতাকা হাতে নিয়ে তৃণমূল কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে৷
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকাল থেকে৷ বর্ধমান জেলার পুরোন বিজেপি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, দলে তাঁদের গুরুত্ব দিন দিন কমছে৷ এর বিরুদ্ধে দলে বর্ধমান অফিসের সামনে বিক্ষোভের প্রস্তুতিও চলছিল৷ এ দিন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী গাড়ি, বাইক করে সকাল থেকেই বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকেন৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই পার্টি অফিস লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি৷ ভিতরেও ঢুকেও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ৷ পাল্টা দলীয় কার্যালয়ের ছাদ থেকেও বড় বড় ইটের টুকরো ছোড়া হতে থাকে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে৷
এর পরই বিক্ষুব্ধ কর্মীরা যে গাড়িতে করে এসেছিলেন সেগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দলের অন্য গোষ্ঠী৷ বেশ কিছু বাইকও ভাঙচুর করা হয়৷ বিরাট পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ বিজেপি-র জেলা নেতাদের অভিযোগ, বর্ধমানে বিজেপি-র জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় তৃণমূলই চক্রান্ত করে বিজেপি-র পতাকা নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে৷
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিজেপি-তে আদি- নব্য বলে কিছু নেই৷ সবাই বিজেপি কর্মী৷ আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছি৷ তবে দলে কোনওরকমের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না৷’ তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল এই ধরনের রাজনীতি করে না, আমাদের দলনেত্রীও এসব পছন্দ করেন না৷ ওরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে মরছে৷ এরকম আরও হবে৷ মুখ বাঁচাতে এখন তৃণমূলকে জড়াচ্ছে৷’
Leave a Reply