বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ঐতিহ্যবাহী আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের ৮৬ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিল আজ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কসবায় কৃষক সভা অনুষ্ঠিত রাজধানীতে ঐশী বাংলা জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন-২০২৫ সম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ভূইয়ার জানাযা ও দাফন সম্পন্ন কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নতুন ভর্তির মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আল্লামা মরহুম গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের
এ যেন আরেক আসমানী… রাজাপুরে পল্লীতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন যাপন

এ যেন আরেক আসমানী… রাজাপুরে পল্লীতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন যাপন

আমির হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ছোট-কৈবর্তখালী গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদার (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন বেগম (২৫) এবং চতুর্থ শ্রেণির পড়––য়া মেয়ে মারিয়া আক্তারের বসবাসের ঘর না থাকায় অন্যের ভাঙা ঘরে বসবাস করে, তীব্র শীত নিবারণের জন্য সাহায্যের আকুতি এবং একটি ঘরের। রশিদ হাওলাদার জানান আমার পুত্রবধূ শারমিন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তার মাথায় কোনো কাজ করে না যখন যেটা ভালো লাগে তখন সেটা করে আবার কাউকে ঠিক মতো চিনতে পারে না কারো সাথে ভালো ভাবে কথাও বলতে পারে না, ঠিক মতো রান্না করেও খেতে পারে না, ওষুধ খাওয়ালে কিছুটা ভালো থাকে কিন্তু আমার ছেলে মামুন সেও কিছুটা মানুষিক রোগে আক্রান্ত ঠিক মতো তেমন কাজ কাম করতে পারে না যেখানে পায় সেখানে কোনো মতে কাজ করে, মানুষে তেমন টাকা দেয় না ঠিক মতো কাজ করতে পারে না টাকা আর দিবে কি, যেদিন কাজ করতে পারে সেইদিন কোনো মতে খায় পরে আর কি খাবে, রোজ আনে রোজ খায় কাজ না করতে পারলে না খেয়ে থাকে। আমারও ওই রকম অর্থ নেই যে আমি খাওয়াবো। মামুন অন্যের বাড়িতে কাজ করে, যখন যে কাজ পায় তাই করে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগার করতেই কষ্ট হয়। মামুন নিজেই মানসিক অসুস্থ তার স্ত্রী চিকিৎসা এবং ওষুধ খরচ মেটানো অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। ঘরের অবস্থাও অনেক খারাপ। বাতাস এলেই ঘরটি নড়তে থাকে, ভয়ে থাকি কখন যেন মাথা গোজার শেষ আশ্রয়টুকু ভেঙে পড়ে যায়। বৃষ্টি হলেই ঘরের মধ্যে পানি পড়ে ভিজে যায় সবকিছুই। শীতের সময় এলে শীতবস্ত্র ও শীত নিবারণের কোন গরম কাপড় না থাকায় চটের বস্তা গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। খাবার ব্যবস্থা ও স্ত্রী ওষুধের খরচ মিটালে অন্যদিকে টাকা খরচের আর কোন উপায় থাকে না।” এমন কথা গুলোই আবেগাপ্লুত হয়ে জানালেন মামুন। বর্তমানে ঝুপড়ি ঘরের বেড়া না থাকায় তীব্র শীতে চরম কষ্টের শিকার হচ্ছেন তারা। বৃষ্টির দিনে ঘরে পানি পড়ে সবকিছু ভিজে যায়। তাদের কষ্টের কথা স্থানীয় মেম্বার মাসুম মৃধাকে জানানো হলেও ভিজিবি কার্ড, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ কোন সাহায্য সহযোগিতা তারা পাননি। মামুনের অভিযোগ, হয়তো ঘুষ দিতে পারি নাই তাই ভিজিবি কার্ড, প্রতিবন্ধী ভাতা, ঘর পাই নাই। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শারমিন ও মামুন স্কুল পড়––য়া মেয়ে মারিয়া আক্তার সরকার এবং বিত্তশালীদের কাছে একটি ঘর ও দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD