কলকাতা প্রতিনিধি
রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
সোমবারই দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা দর্শনে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে আজ অর্থাৎ চতুর্থীর দিনও আদালতের দারস্থ ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। জরুরি ভিত্তিতে আজই শুনানির আবেদন জানানো হচ্ছ।
এই আবেদনকারীদের মধ্যেয মোট চারশো পুজো কমিটি রয়েছে এই ফোরামের আওতায়। তাঁরা চান মণ্ডপ দর্শকশূণ্য রাখার যে রায় দিয়েছে আদালত, তা পুনর্বিবেচনা করা হোক। এই আবেদনকারীদের মধ্যেয মোট চারশো পুজো কমিটি রয়েছে এই ফোরামের আওতায়। তাঁরা চান মণ্ডপ দর্শকশূণ্য রাখার যে রায় দিয়েছে আদালত, তা পুনর্বিবেচনা করা হোক। সোমবার রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলর ভিতরকেই দর্শক শূন্য রাখার কথা জানিয়ে দেয় আদালত। সোমবার রাজ্যের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করছিলেন কিশোর দত্ত। অন্য দিকে, জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারীদের পক্ষে লড়েন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সওয়াল জবাব শেষে আদালত স্পষ্ট জানায়, সব মণ্ডপের চারপাশে ৫-১০ মিটার জায়গা জুড়ে ব্যারিকেড দিতে হবে। নো এন্ট্রি ঘোষণা করতে হবে এই ব্যারিকেড জোনকে। সেখানে প্রবেশাধিকার শুধুই উদ্যোক্তাদের। সেই কর্মকর্তাদের নামও ঝুলিয়ে দিতে হবে মণ্ডপের বাইরে। দূরত্ব বিধি প্রণয়নের দায়ভার কলকাতা পুলিশ এবং পুজো উদ্যোক্তাদের। গোটা রাজ্যের সব পুজোই ভার্চুয়ালি দেখানোর বন্দোবস্তের পক্ষে রায় দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশ কতটা মানা হচ্ছে, কোথায় কী ভাবে কার্যকর হল নো এন্ট্রি জোন, সবটাই হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে আদালতকে জানাতে হবে ৫ নভেম্বর।
Leave a Reply