আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
জামালপুর সদরের বিভিন্ন খুচরা ও মুদি দোকানে মানা হচ্ছে না তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন। আইন অম্যান্য করে কোম্পানীগুলো তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এ ঘটনায় শহরের ১৭ টি তামাকজাত পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ই-কোর্টে অভিযোগ দাখিল করেছে ও স্থানীয় তামাক বিরোধী জোটের সদস্য সংগঠন ‘ সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সদর উপজেলার কাঁচাবাজার, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল সংলগ্ন মোড় এবং মার্কেটের পাশে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করছে। প্রকাশ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও কোম্পানী গুলোর ইন্ধনে দোকানিরা দোকানের সামনে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
এ ব্যাপারে এসপিকে এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, সরকারের আইন অমান্য করে কোম্পানীগুলো এসব প্রচার করে চলছেন। ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এ সংক্রান্ত বিধিমাল’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্য এর বিজ্ঞাপন বন্ধের জন্য শহরের ১৭টি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ই-কোর্টে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমরা আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে দোকান গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে সরকার বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর। দেশকে তামাকমুক্ত করতে ইতি মধ্যে আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি তামাকের উপর কর বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা জরুরি বাস্তবায়ন করা লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে সরকার । এই বিষয়টি গুরত্বর সাথে বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারী সংস্থাগুলোর দাবী প্রেক্ষিতে প্রতিবছর সরকার তামাকজাত পন্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়,যদিও তার পরিমাণ খুবই সামান্য। তথাপি প্রতিবছর তামাক ব্যাবসার সাথে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলি তামাক পন্যের উপর কর বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপকৈশল অবলম্বন করে।
Leave a Reply