মোঃ আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ৫নং শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ছগির হোসেন ( ছগির মেম্বর) কে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দিয়েছেন ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। ছগির হোসেনের প্রথম স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা এর দায়ের করা ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের মামলায় কাঠালিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ছানিয়া আক্তার অদ্য তার জামিনের আবেদন না মন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের এ আদেশ দেন।
মামলাটি বাদী পক্ষ পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোঃ নাসির উদ্দিন কবির, এড. মুঃ শামীম আলম ও এড. মানিক আচার্য। অপরদিকে আসামি মোঃ ছগির হোসেনের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন সিনিয়র আইনজীবী আঃ রশিদ সিকদার।
ছগির হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রধান শিক্ষিকা মাছুমা আক্তারের পূর্বের স্বামী (প্রথম) মো. জালাল আকন জানান, নবম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় তার মা মারা যাওয়ায় আমার পরিবারের অনুরোধে ২৫/০১/১৯৯৩ সনে খালাত বোন মাছুমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ করি। এরপর আমি তাকে নিজ খরচে এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পাশ করিয়ে চেঁচরী রামপুর বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক (কম্পিউটার) এবং পরবর্তীতে সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি দেই। খুবই সুখে শান্তিতে চলছিল এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে আমাদের সংসার। কিন্তু বলতে কষ্ট হচ্ছে আমার স্ত্রী চেঁচরী রামপুর বালিকা বিদ্যালয়ে চাকরিরত অবস্থায় একই স্কুলের তার সহকর্মী ছগির হোসেনের স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্তেও উভয়ে পরকিয়া ও শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। প্রেমিক ছগির হোসেনের সাথে সংসার করার উদ্দেশ্যে গত ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আমাকে ডিভোর্স দেয়। পরবর্তীতে আমার সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের অনুরোধে ৮ মাস পর ওই বছরের ২০ অক্টোবর ডিভোর্স প্রত্যাহার করে ওকই তারিখে আমার সাথে দ্বিতীয়ভার বিবাহ কাবিন নামা রেজিষ্ট্রি করে পূনরায় আমরা ঘর-সংসার করা অবস্থায় প্রেমিক ছগিরের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক অব্যাহ রেখে ২০১৭ সালে আমাকে আবার ডিভোর্স দিয়ে প্রেমিক ছগিরের সাথে বিবাহ করে স্ত্রী মাছুমা। আমি স্ত্রীকে ফিরে পাওয়া, সহ ক্ষতিপূরণ দাবিতে আদালতে একাধিক মামলা করেও কোন ফল পাইনি। প্রতারক মাছুমার জন্য আজ আমি স্বর্বশান্ত। অনেক কষ্টে তার ফেলে যাওয়া দুই সন্তান নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। যতদূর জানি বর্তমানে ছগির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাছুমা আক্তারকে নিয়ে কাঠালিয়ার বটতলা বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। জালাল আকন আরো জানান, ছগির হোসেন প্রথম স্ত্রী উচ্চ বংশের ভাল পরিবারের মেয়ে। সহজ-সরল ও আদর্শবান ও শিক্ষিকা। স্ত্রী ও তার দুই সন্তানের কোন খোঁজ -খবর নিচ্ছে না এই ছগির।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছগির হোসনের বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে কথা বলেছি । সে জেল হাজতে থাকলে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
Leave a Reply