বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ঐতিহ্যবাহী আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের ৮৬ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিল আজ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কসবায় কৃষক সভা অনুষ্ঠিত রাজধানীতে ঐশী বাংলা জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন-২০২৫ সম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ভূইয়ার জানাযা ও দাফন সম্পন্ন কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নতুন ভর্তির মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আল্লামা মরহুম গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের
নওগাঁয় আউশের দামে খুশি কৃষক

নওগাঁয় আউশের দামে খুশি কৃষক

রহিদুল ইসলাম রাইপ,নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে রোপা আউশ ধানের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। ৩ বারের বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে এবার আউশ মৌসুমে ফলনও হয়েছে খুব ভালো।

বাজারে ধানের এই দাম অব্যাহত থাকলে বন্যার ক্ষতি কৃষকরা অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আউশ মৌসুমে উপজেলার মোট এক হাজার ৪শ ২৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক বিঘা জমির ধান বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে। তবুও উপজেলার একডালা, পারইল, বড়গাছা, সদর ইউনিয়নগুলো উচু হওয়ার কারণে বন্যার পানিতে এই সব এলাকার ধান তেমন আক্রান্ত হয়নি। এবার হেক্টর প্রতি ৩.২ টন হারে আউশ ধানের ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪শ ৫০ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই কৃষকরা আউশ ধান কর্তন করে রোপা আমন ধান রোপণ করা শুরু করবেন। সম্প্রতি উপজেলা কৃষি বিভাগ আনুষ্ঠানিক ভাবে আউশ ধান কর্তন করেছে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ আউশ ধান ৯৫০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

একডালা গ্রামের কৃষক ফেরদৌস হোসেন, ভেটি গ্রামের আলীসহ অনেক কৃষকরাই জানান, যে আউশ ধান চাষে খরচ একবারেই নেই বললেই চলে। পানি সেচ দিতে হয় না, বালাইনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তাই আউশ ধান চাষ করে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হন। এছাড়াও বর্তমানে বাজারে ধানের দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কৃষকরা আউশ ধানের ফলন ও দামে অনেক খুশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমন ধানে কিছুটা সেচ দিতে হলেও আউশ ধানে তেমন একটা পানি সেচ দিতে হয় না। এবার উপজেলার অধিকাংশ জমিতে ব্রি ধান ৪৮, ৮২ জাতের ধান চাষ করায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছেন। কারণ এই জাত উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের জাত। তবে বন্যার কারণে যেসব জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকরা এখন সেসব জমিতে আমন ধান রোপণ করতে শুরু করেছেন। এছাড়াও আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় কৃষকদের নানা পরামর্শ প্রদান করছি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD