খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি\
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন-মুজিব শতবর্ষ সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল ভাল কাজ হাতে নিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাল কাজগুলোর একটি কাজ হল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের উপহার হিসেবে ঘর দেয়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ দেশে কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তি থাকবে না। সবার মাথায় ছাদ থাকবে। তিনি আরও বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মাণে কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। উপকারভোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- এঘরগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের উপহার দিয়েছেন। আপনাদের ঘরগুলো নিমার্ণ কাজ নিজেই তদারকি করবেন। কাজ বুঝে নিবেন। মঙ্গলবার সকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের বারি মধুপুর গ্রামে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) ঘর নিমার্ণে উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট। বক্তব্য রাখেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আউয়াল, নিতাই ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক উজ জামান ফারুক, বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান শাহ্, সাংবাদিক শামিম হোসেন বাবু, উপকারভোগী হাওয়াতোন বেওয়া, আনোয়ার হোসেন লাভলু, নুর নাহার বেগম, নেকি বেগম, আনোয়ারা বেগম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ নাহিদুল হক, মোছাঃ সাদিয়া আফরিন এ্যানি,রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ,রেজোয়ান ইফতেকার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু হাসনাত সরকার, চাঁদখানা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজার রহমান হাফি প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্যায়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প হতে নিতাই, বাহাগিলী ও চাঁদখানা ইউনিয়নে ১ শ’ ৫০ টি ঘর নিমার্ণ করা হচ্ছে। উপকারভোগী প্রত্যেককে ২ শতাংশ করে জমি দেয়া হবে। প্রতিটি ঘর নিমার্ণে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প হতে এ ঘরগুলো নিমার্ণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে- প্রথম পর্যায়ে এ উপজেলায় ১ শ’ ৪০ উপকারভোগীকে ঘর নিমার্ণ ও ২ শতাংশ করে জমি দেয়া হয়।
Leave a Reply