ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ১০নং বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা গ্রামের আবু তাহের ফকিরের ২ ছেলেকে ৬ বছরের সাজা দিয়েছে জেলার চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গত বৃহস্পতিবার ৭ জানুয়ারি ২০২১ইং ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এই সাজার আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- জালাল উদ্দিন (৪৫), ২ বছরের সাজা, হিরা মিয়া শাহসাব (৪২), ৪ বছরের সাজা, তারা দুইজনই আবু তাহের ফকিরের ছেলে। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে জালাল উদ্দিন জেলে আছে। আর হিরা মিয়া শাহাসাব সাজার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বড় বায়েক গ্রামের বাসিন্দা কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব এর সিনিয়ির সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্দুর রহিম মোল্লার পরিবারের ১একর ভূমি জাল-জালিয়াতি করে আবু তাহের ফকির আত্মসাৎ করতে ব্যর্থ হয়ে গত ২০/০৭/২০১৩ইং তারিখে সাংবাদিক আব্দুর রহিম মোল্লা ও তার বড় ভাই আব্দুর রুফ ও তাদের পিতা আব্দুল জলিলের উপর আবু তাহের ফকির তার দলবল নিয়ে বর্বরোচিত হামলা করে। এই হামলায় সাংবাদিক আব্দুর রহিম মোল্লা সহ মোট ৩ জন মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। এই হামলার ঘটনায় দেশের প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো ও ইত্তেফাকসহ স্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রিক মিডিয়াতে ২০১৩ সালের জুলাই মাসের ২১ তারিখে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সাংবাদিক আব্দুর রহিম মোল্লার বড় ভাই আব্দুর রুফ বাদী হয়ে হামলার দিন আবু তাহের ফকিরসহ মোট ১৬ জনকে আসামী করে কসবা থানায় একটি মামলা করে। মামলা নং ২৮, তারিখ ২০/০৭/২০১৩ইং, জি.আর ৩২৮/১৩, সি.জে.এম ৯৯৩/১৪। কসবা থানা পুলিশ সকল আসামীর বিরুদ্ধে জি.আর ৩২৮/১৩ নং মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। যার নং ৪০২, তারিখ-২৯/০৯/২০১৩ইং। ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/১৪৪/৩৪ প্যানেল কোড। আদালত দীর্ঘ ৮ বছর পর বিচারকার্য শেষে ১৬ জন আসামীর মধ্যে ২ জনকে সাজা প্রদান করে এবং বাকী ১৪ জন আসামী খালাস প্রদান করে। এই ২ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মধ্যে ইতিপূর্বে জালাল উদ্দিন গাড়ী চুরির মামলায় জেল হাজত খেটেছে। ১ একর ভূমি আত্মসাতের লোভে পড়ে আবু তাহের ফকির সাংবাদিক আব্দুর রহিম মোল্লার পরিবারের লোকজন ও তার তদ্বীয় লোকজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ২৭-২৮টি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করে। এই সকল মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা সমূহ পুলিশের প্রতিবেদনে ও আদালত কর্তৃক মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া আবু তাহের ফকিরের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক হামলা-মামলার বিষয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
Leave a Reply