আবুল কালাম আজাদ।।
সুদানের দারফুরে শান্তিরক্ষায় ‘পরিশ্রম, কর্মদক্ষতার ও মানবিক কাজের’ জন্য ‘প্রশংসা সনদ’ পেয়েছেন সেখানে কর্মরত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। আজ দারফুরে এলফেশার সুপার ক্যাম্পে সেই দেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সুলতান আজম তিমুরি ব্যানএফপিইউ কমান্ডারের হাতে এ সনদ তুলে দেন। কমান্ডার হালিম ২০১৯ সালের ২৫ মে সুদানের দারফুরে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন। এরপর সেখানে নিয়ালা সুপার ক্যাম্পের নিরাপত্তা দিয়ে সুদান সরকারের কাছে ক্যাম্প হস্তান্তর করেন। এল ফাশেরে নানাবিধ সামাজিক কার্য্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেখানকার অধিবাসীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন, যাতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। সেখানে কুটুম টিম সাইটের ফাতাবর্ন আইডিপি ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত মানুষকে নিরাপত্তা প্রদান করে প্রশংসিত হন তিনি। ডিসেম্বর মাসে উনামিড মিশন এর অপারেশন কার্য্যক্রম শেষ হওয়াই এলফেশার সুপার ক্যাম্প স্থানীয় সুদানিজ কর্তৃক নানা সময় আক্রমনের শিকার হয়, যা কমান্ডার হালিমের দিক-নির্দেশনা ও কঠোর নিরাপত্তা প্রদানের কারনে ক্যাম্প নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। এছাড়াও করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জাতিসংঘের কোভিড-১৯ গাইডলাইন মেনে দক্ষতার সাথে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনাসহ জাতিসংঘ হেডকোয়ার্টাস থেকে আগত বিভিন্ন ভিআইপিদের এসকর্ট পরিচালনা সহ স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা শিক্ষামূলক উপকরণ বিতরণ, বৃক্ষ রোপণ অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। কমান্ডার হালিম বলেন, “সুদানের দারফুরে জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন যৌথভাবে শান্তিরক্ষায় কাজ করছে। বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের একজন সদস্য হিসেবে এই মিশনে কাজ করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি। “দায়িত্বপালনকালে শান্তিরক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের ইতিবাচক ইমেজ তৈরি হয় আমি এমন কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যার স্বীকৃতি হিসেবে আমাকে ৬ষ্ঠ বারের মত এই ‘প্রশংসা সনদ’ দেওয়া হয়েছে।” ‘প্রশংসা সনদ’ পেয়ে দিনটিকে ‘অত্যন্ত আনন্দের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একজন শান্তিরক্ষী হিসেবে মিশনে অনেক প্রতিকূল পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এই সনদ প্রাপ্তির দিনে আমি উপস্থিত থাকতে পেরে সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি।” এরকম ‘প্রশংসা সনদ’ মিশনে কর্মরত অন্যদেরও উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করেন তিনি।
Leave a Reply