শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

সুবর্ণচরে চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন

সুবর্ণচরে চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন

ইব্রাহিম খলিল শিমুল, নোয়াখালী।

নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার মধ্যে জেলার
দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত তার নাম সুবর্ণচর।

এই উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে বিশেষ করে চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প উৎপাদন খরচে দাম বেশি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষীরা।

পানির ওপর মাচায় সবুজের সমারোহ, মাঝে উঁকি দিচ্ছে হলুদ-সাদা ফুল কিংবা থরে থরে ঝুলছে শসা। এবং সেই মাচার নিচে রয়েছে মাছের চাষ, পাশে বরবটি, কুমড়া, সীম’সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি। এই দৃশ্য সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দেখা যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার আবাদি-অনাবাদি জমিতে শসার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও হয়েছে বাম্পার।

বিষাক্ত সার ও কীটনাশকমুক্ত এই শসা সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ। বীজ রোপনের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। বিঘা প্রতি খরচের চেয়ে লাভ্য অংশ দ্বিগু হওয়ায় শসা চাষে ঝুকি হচ্ছে অন্যান্য উদ্যোগীরা। স্বল্প সময়ে কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এই শসার চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।

মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোস্তফা বাজারের আল্লাহর দান সবজি আড়ৎ পোপাইটর মো: ছানা উল্যাহ’সহ আরো অনেকে জানিয়েছে, অল্প উৎপাদন খরচে দাম বেশি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষীরা।

তিনি আরো জানান, তবে এখানকার গ্রাম অঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খুবই বেহালদশা। যার ফলে ফেনী, কুমিল্লা, ঢাকা, চট্রগ্রাম’সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত বড় বড় ব্যবসায়ীরা গাড়ি গুলো নিয়ে মাঠ পর্যায়ে এসে কৃষকদের থেকে সরাসরি শসা ক্রয় করার সুযোগ থাকলেও সড়কের কারনে পর্যাপ্ত শসা মাঠ থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারছেন না তারা। যা ক্যারিং খরচ দ্বিগু বেড়ে যায়। এতে ন্যায্য মূল্য থেকে কিছু পরিমাণ কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে শসা। তবুও বর্তমান বাজার অনুযায়ী ভালো দাম পাচ্ছে মাঠ পর্যায়ের চাষীরা। এতে স্থানিয় ব্যবসায়ী ও খুচরা শসা বিক্রেতা সন্তুষ্ট।

সুবর্ণচর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো: হারুন অর রশিদ জানান, সুবর্ণচরে ২০২০-২১ অর্থ বছরের চলতি মৌসুমে ১৮ শত ৫০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। উন্নত জাতের শসার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। গত বছরের চেয়ে এবার ২ শত হেক্টর জমির আবাদ বেড়েছে।

তিনি আরো জানান, সমগ্র উপজেলার মাঠ পর্যায়ের কৃষকদেরকে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে সহযোগীতা করা হয়। এবং চাষীদেরকে লাভ জনক ফসলে এগিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও চাষীদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত প্রণোদনা’সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা সার্বক্ষণিক অব্যাহত রয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD