খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি\
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমরিয়া মালিপাড়া গ্রামের এক হাঁসের খামারীর হাঁস পার্শ্ববর্তী এক কৃষকের জমিতে নামার কারণে খামারীকেসহ তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে ওই এলাকার তিস্তা ক্যানেল থেকে হাঁসের খামারী বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমরিয়া মালিপাড়া গ্রামের বিপিন চন্দ্রের ছেলে সন্তোষ কুমার তার খামারের পালিত হাঁস ক্যানেল থেকে নিয়ে বাড়ী ফিরে আসছিল। ওই সময় হাঁসের পাল থেকে কয়েকটি হাঁস পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষক হবিল উদ্দিনের জমিতে লাগানো বীজতলায় নামলে হাঁেসর খামারী তার হাঁস তাড়িয়ে নিয়ে বাড়ীতে আসে। খবর পেয়ে কৃষক হবিল উদ্দিন তার জমিতে হাঁস নামার কারণে হাঁসের খামারী সন্তোষ কুমারকে অশালীন ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। হাঁসের খামারী কৃষক হবিল উদ্দিনকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে হবিল উদ্দিন হাসের খামারী সন্তোষ কুমারকে মারার জন্য উদ্যত হয়। সেখানে সন্তোষের ছেলে তার বাবাকে রক্ষা করতে গেলে হবিল উদ্দিনসহ তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করতে থাকে। এমতাবস্থায় সন্তোষ কুমারের ছেলে স্বদেশকে নাকের মধ্যে চোঁট দিলে ঘটনাস্থলে সে পরে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেই ঘটনার পর থেকে হবিল উদ্দিনের পরিবারের লোকজন সন্তোষ কুমারকে আবারো আক্রমন করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন।
হবিল উদ্দিন জানান,তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে আবারো মারপিট করে পঙ্গু করবেন। সে তার হাঁসের খামারের হাঁসকে নিয়েও পড়েছেন বিপদে। তিনি বলেন,আমি ঘটনার দিন থেকে আমার খামারের হাস ক্যানেলে নিয়ে যেতে পারছি না। হবিল উদ্দিন আমাকে যে কোন মুহুর্তে আক্রমন করতে পারে। তিনি হবিল উদ্দিনের অত্যাচার সহ্য করতে না পেয়ে গত শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply