খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি \
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন অমান্য করে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বসেছে পশুর হাট। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বুধবার দুপুরে সাপ্তাহিক এ হাটে স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত। ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে ছিল না মাস্ক। ইজারাদের পক্ষ থেকে হাত ধোয়ার সাবান বা স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি। পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি, নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। গরুর হাট বসলেও প্রশাসন এ বিষয়ে কিছুই জানে না। এ পরিস্থিতিতে উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
উপজেলার সর্ববৃহৎ এ পশুর হাট বসে প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে নানা বিধি নিষেধ থাকলেও এ সবকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে নির্বিঘেœ চলছে কিশোরগঞ্জে পশুরহাট। ফলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দ্রæত করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।
হাটে আসা কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, ভ্যাপসা গরমে মুখে মাস্ক রাখা যাচ্ছে না। আবার দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পড়ে থাকার কারণে নাক মুখে ঘাম জমে ভিজে যায়। মাস্ক পরে কথা বলতেও সমস্যা হয়। গরুর হাটে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা খুবই দুষ্কর।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু শফি মাহমুদ জানান,গত এক সপ্তাহে মোট ৪০ জনের করোনা পরীক্ষা করার জন্য নমূনা সংগ্রহ করা হয়। তারমধ্যে ১৯ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহের তুলনায় করোনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূহুর্তে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাফেরা না করলে অল্প সময়ে এ উপজেলাও করোনার ঝুঁকিতে পরবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুজ্জামান জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, সেনাবাহিনীসহ টহলে ছিলাম । হাট বসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, গরুর হাট বন্ধের নির্দেশনা আছে। হাট বসানো বিষয়ে আমি কিছু জানি না । এখনেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
Leave a Reply