বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
খুলনায় ঈদ উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাচ্ছে ২৩৬ পরিবার

খুলনায় ঈদ উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাচ্ছে ২৩৬ পরিবার

স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
আগামী ২৬ এপ্রিল ঈদ উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ৩২৯০৪ টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এরই অংশ হিসেবে খুলনা জেলায় ১৪টি রূপসায়, ৬২টি তেরখাদায়, ৩৫টি দিঘলিয়ায়, চারটি ফুলতলায়, ৬৫টি ডুমুরিয়ায়, ৩৬টি পাইকগাছায় এবং দাকোপে ২০টি পরিবারের কাছে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার আজ (রবিবার) বিকেলে তাঁর সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও প্রেসব্রিয়িং এ এসকল তথ্য জানান।

প্রেসব্রিফিং এ জানানো হয়, ৩য় পর্যায়ে খুলনার জন্য ০৫টি ধাপে সর্বমোট ৯০৬টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে। গড় অগ্রগতি ৪৬%। ৩য় পর্যায়ে তেরখাদা উপজেলায় ১১৭ টি, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৩০টি, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৬৫টি, পাইকগাছা উপজেলায় ৯৭টি, দাকোপ উপজেলায় ৩০টি, দিঘলিয়া উপজেলায় ১০০টি, ফুলতলা উপজেলায় ৮১টি, রূপসা উপজেলায় ৭৬টি এবং কয়রা উপজেলায় ১০টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ১ম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ১,৭১,০০০ টাকা। ২য় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ১,৯০,০০০ টাকা। ৩য় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ২,৫৯,৫০০ টাকা। ২য় পর্যায়ে ৪টি জানালার পরিবর্তে ৫টি জানালা সংযুক্ত করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে ঘরের বারান্দায় আরসিসি পিলার, ঘরের বেজমেন্টে আরসিসি ঢালাই, গ্রেডবীম ও টানা লিন্টেল সংযুক্ত করা হয়েছে। খুলনায় উপযুক্ত খাস জমির সংস্থান না থাকায় কোন কোন উপজেলায় জমি ক্রয়পূর্বক গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে পাইকগাছায় ৪৭টি ঘরের জন্য ১.০৩ একর, দিঘলিয়ায় ৬৫টি ঘরের জন্য ১.৬৮৭১ একর, ফুলতলায় ৭৭টি ঘরের জন্য ১.৬০ একর এবং রূপসায় ১২টি ঘরের জন্য ০.২৪ একরের জন্য সর্বমোট ২০১টি ঘরের জন্য ৪.৫৫৭১ একর জমি ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে।

প্রেসব্রিফিং এ আরও জানানো হয়, খুলনা জেলায় ১ম পর্যায়ে ৯২২ টি গৃহ নির্মাণের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং শতভাগ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ১ম পর্যায়ের জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছেন। ২য় পর্যায়ে ১৩৫১ টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া যায়। গৃহ নির্মাণের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং শতভাগ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২০ জুন ২য় পর্যায়ের জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তৃতায় বলেন, খুলনা জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের ন্যায় বিশাল কর্মযজ্ঞ সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ড্রইং, ডিজাইন এবং স্পেসিফিকেশন শতভাগ মেনে চলা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১ম পর্যায়ে ৬৬১৮৯ টি পরিবারের প্রত্যেককে ২ শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক একক দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমি-পাকা গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ২য় পর্যায়ে দেশের সকল জেলায় সর্বমোট ৫৩৩৪০ টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে দেশের সকল জেলায় সর্বমোট ৬৫ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ব্রিফিং এ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছাঃ শাহানাজ পারভীন, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD