শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক।।
বাংলার সংগীত জগতের এক স্বর্ণযুগের অবসান। প্রয়াত হলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ৯০ বছরের এই কিংবদন্তি। শিল্পীর প্রয়াণের খবর টুইট করে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন। শিল্পীর প্রয়াণে শোকাহত অনুরাগীরা। শোক প্রকাশ করেছেন বিনোদন ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টজনরা।

মঙ্গলবার অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, গীতশ্রীর শারীরিক পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। এদিন সকালে তার রক্তচাপ কমে যায়। যে কারণে ভেসোপ্রেসার সাপোর্টে রাখা হয়েছিল কিংবদন্তি সংগীত শিল্পীকে। তবে শেষ রক্ষা হলো না।

‘মধুমালতী’র মতো নিজের কণ্ঠের জাদুতে কয়েক দশক ধরে সংগীত জগৎকে মাতিয়ে রেখেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকায় জন্ম শিল্পীর। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে ছোট। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি অনুরাগ। পণ্ডিত সন্তোষ কুমার বসু, অধ্যাপক এ টি কান্নান, অধ্যাপক চিন্ময় লাহিড়ীর কাছে তার শিক্ষা শুরু। ছিলেন উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর শিষ্য। মুম্বাইয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। রাইচাঁদ বড়াল, শচীন দেববর্মনের মতো সংগীত পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ‘আঞ্জন গড়’, ‘তরানা’র মতো সিনেমার গানে নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছিলেন।

প্রায় ১৭টি হিন্দি ছবির জন্য গান গাওয়ার পর ব্যক্তিগত কারণে কলকাতায় চলে আসেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সেই থেকে শুরু বাংলার সুরেলা জগতের এক নতুন অধ্যায়। ‘সপ্তপদী’, ‘পথে হল দেরী’, ‘অগ্নি পরীক্ষা’, ‘দেওয়া নেওয়া’, ‘পিতা পুত্র’ – একের পর এক সিনেমায় তার কণ্ঠের জাদু শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে বললে কম বলা হবে। বলা যায়, বাঙালির সাংস্কৃতিক মননে যোগ করেছে এক অভূতপূর্ব মাইলফলক। একসময় নাকি সুচিত্রা সেনের কণ্ঠ হিসেবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকেই ভাবতে পারতেন না সংগীত পরিচালকরা।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরীর সঙ্গে জুটিবেঁধে বহু কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন গীতশ্রী। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ‘জয় জয়ন্তী’, ‘নিশিপদ্ম’ সিনেমায় গান গেয়ে। পেয়েছেন বঙ্গ বিভূষণ। ১৯৬৬ সালে কবি ও গীতিকার শ্যামল গুপ্তকে বিয়ে করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শিল্পীর গাওয়া বহু গানের কথাই শ্যামল গুপ্তর লেখা।

এত সুর, এত গানের একচ্ছত্র সম্রাজ্ঞী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগেই তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দিতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অভিমানে তা প্রত্যাখ্যান করেন শিল্পী। বলেছিলেন, ‘মেরা দিল নাহি চাহতা হায়। আর একটা কথা জেনে রাখুন। আমার শ্রোতারাই আমার পুরস্কার।’ স্পষ্ট ভাষায় দিল্লির আমলাকে জানিয়ে দেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তার পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

শোনা যায়, বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন শিল্পী। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি। তবে শিল্পীর প্রয়াণের পরও তার শিল্প সম্পদ হয়ে থেকে যায়। সেই শিল্পের মাধ্যমেই অনেকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করেছেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD