আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
জামালপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক মহল। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোখলেছুর রহমান।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে জামালপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে টেলিটকের মাধ্যমে লটারীতে প্রথম শ্রেণীতে ছাত্রী ভর্তি করা হয়। নিয়ম অনু্যায়ী ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়। লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত ছাত্রীদের ভর্তির নিয়ম থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেহনাজ হক চৌধুরী ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের যোগসাজসে ও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ১ম শ্রেণী ( দিবা) শাখায় জান্নাত ইসলাম নামে এক ছাত্রীকে ভর্তি করেছেন। যার রোল নং ৫৭। লটারীতে উর্ত্তীণ তালিকা ও অপেক্ষামান তালিকায় নাম নেই ভর্তিকৃত জান্নাত ইসলামের। নিয়ম বর্হিভূত ভাবে অর্থের বিনিময়ে জান্নাত ইসলামকে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করায় অভিভাবকদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনৈতিক উপায়ে ভর্তিকৃত প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাত ইসলাম বিদ্যালয়ের বেতনসহ যাবতীয় পাওনাদি অনলাইনের ৩১২১৫৭ নং বেতন আইডি’র মাধ্যমে নিয়মিত পরিশোধ করে যাচ্ছেন। ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে তদন্ত করলে জান্নাত ইসলামের মতো অর্থের বিনিময়ে একাধিক ছাত্রী ভর্তির অভিযোগ বেরিয়ে আসবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেহনাজ হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এমনই মন্তব্য করেছেন অভিভাবক মহল।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেহনাজ হক চৌধুরী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামানের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থের বিনিময়ে অপেক্ষামান তালিকা থেকে ছাত্রী ভর্তি করেছেন বলে তারা অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেহনাজ হক চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের ফোনে যোগাযোগ করে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
অর্থের বিনিময়ে ভর্তি বাণিজ্য বিষয়ে জামালপুরের জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোখলেছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের প্রমাণ পেলে ভর্তি বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply