স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
দাকোপ উপজেলার স্বনামধন্য চালনা নকুল চন্দ্র ব্লু বার্ড সঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পল্লব বিশ্বাস উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রান্তি ভাতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ করলে বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষা কর্মকর্তার দেওয়া বক্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষক পল্লব বিশ্বাস।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দির্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
পল্লব বিশ্বাস ২০০৩ সালের ৬ ই সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ চত্বরে বোমার আঘাতে আহত হন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিক্ষক পল্লব বিশ্বাস বলেন প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চে দাকোপ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন অহিদুল ইসলাম। যোগদানের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ তিন বছর হলে সাধারণত বিনোদন ভাতা ও ছুটি প্রাপ্ত হন। এ ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে ৭৫ জন শিক্ষককে বিনোদন ভাতা দেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই চাকরির বয়স তিন বছর পূর্ণ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, আগের ছুটির তারিখ গোপন রেখে অনেককে একাধিকবার বিনোদন ভাতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে জাতীয় করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ১০ জনকে অনৈতিকভাবে বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলার ১১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা, নিজ অফিসকে হোমিওপ্যাথি চেম্বার হিসেব ব্যবহার, বয়স্ক শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।চাকরির বয়স চার থেকে পাঁচ বছর পার করছেন—এমন কয়েকজন শিক্ষক জানান, বিনোদন ছুটির ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে। শুধু তা-ই নয়, সর্ভিস বুক জমা ও গ্রহণকালেও অফিসে টাকা দিতে হয়। চাকরির ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে বলতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের আরো অভিযোগ, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পটুয়াখালীতে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হলেও সেখানে যোগ দেননি তিনি।
দাকোপ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুলইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
Leave a Reply