নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
শনিবার কলকাতার বন্দিশ তবলা একাডেমির ৩০ বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার প্রান্তিক এলাকা করিমপুর কিষাণ ভবন লজে বন্দিশ তবলা একাডেমি ও ছায়াছন্দের যৌথ উদ্যোগে একটি তবলার কর্মশালা ও বহিরাগত শিল্পী সমন্বয়ে তবলার একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তবলা গুরু পণ্ডিত স্বপন শিবজির তত্বাবধানে করিমপুর ও পার্শবর্তী অঞ্চলের ৩৭ জন কচিকাঁচা শিক্ষার্থী এই কর্মশালায় অংশ গ্রহন করে। বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পণ্ডিত স্বপন শিবকে ফুলের তোড়া, শাল, মিষ্টি এবং মানপত্র দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক দীপক জোয়ার্দার, তবলা শিক্ষক গৌতম চৌধুরী, শিক্ষক পার্থ তেওয়ারী ও তবলা শিল্পী সন্দীপ পাল। গুরুজির সুযোগ্য কন্যা ও বিখ্যাত তবলিয়া তথা বন্দিশ তবলা একাডেমির কর্নধার ফ্রান্সের ‘প্রিন্সেস অফ তবলা’ উপাধিপ্রাপ্ত রিম্পা শিব অনুষ্ঠানকে আরও সমৃদ্ধ করেন। ছায়াছন্দের ছাত্রছাত্রীরা একটি অসাধারণ ভজন সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। তারপর একে একে অভ্র সাহা ,নিলেশ কুণ্ডু, নিলিমেশ সরকার,মৃন্ময় সরকার,সন্দীপ পালের তবলা বাদন। তাঁদের তবলার বাজনা হল ভর্তি শ্রোতাকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বসিয়ে রেখেছিল। গুরুজি স্বপন শিব, শিশু শিল্পী অভ্রর তবলা বাদনে এতটাই বিমুগ্ধ হন যে অভ্রর গলায় পরিয়ে দেন নিজের গলার সোনার চেন ও শাল। একক তবলা বাদন নিলেষ কুন্ডুর ও দ্বৈত তবলা বাদন নিলিমেষ চক্রবর্তী ও মৃন্ময় সরকারের পরে দিলীপ বিশ্বাসের রাগ প্রধান গান ও ভজন শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। তবলায় সঙ্গত করেন বিবেকানন্দ সাহা। সর্বশেষে লখনৈ ঘরানার একটি অনন্য বাদন শৈলী তুলে ধরেন পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী সুযোগ্য শিষ্য সন্দীপ পাল! সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন পিন্টু সাহা। এর আগে প্রান্তিক এলাকা করিমপুরে বেশ কিছু শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান হয়েছে কিন্তু তবলা নির্ভর এমন সফল শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান এই প্রথম। ছায়াছন্দের অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ সাহার এ এক অসাধারণ পদক্ষেপ। করিমপুরবাসীর এক গর্বের দিন।
Leave a Reply