বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ আপনার চলে যাওয়ার সময় আগামীতে নতুন করে সুন্দর স্মৃতিকথা মনে করাতে ছবি হল অন্যরকম এক স্মৃতি,সেই ছবি’র পিছনে কারিগর হয় একজন আলোকচিত্রশিল্পী আবার কেউ কেউ বলেন ফটোগ্রাফার। এমনি একজন তরুণ আলোকচিত্রশিল্পী ফটোগ্রাফি সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফোটোগ্রাফি নিয়ে কথা হল তার স্বপ্ন নিয়ে। মোঃমাজহারুল ইসলাম নিলয় পেশায় একজন ফটোগ্রাফার। স্কুল জীবন
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
কলেজঃঢাকা কমার্স কলেজ।
বর্তমানে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত(জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
নিলয়!ফটোগ্রাফির হাতে খড়ি শুরু হয়(২০১৩) যখন আমি বন্ধুদের দেখাদেখি কমার্স কলেজের ফটোগ্রাফি ক্লাবে ক্লাস করা শুরু করি।তখন থেকেই ছবি তুলে দেয়া অন্যের স্মৃতিগুলো ধরে রাখার প্রতি প্রবল ঝোঁক সৃষ্টি হয়।মনে মনে ভাবি যে করেই হোক আমি এটাই করবো।
পরে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু জ্ঞান নিয়ে নেমে পড়ি ছবি তোলায়।যদি পারিবারিকভাবে কেউই আমাকে এই ব্যপারে সাপোর্ট করে নি।বন্ধুদের সহযোগিতায় একটু একটু করে সামনে এগোতে থাকি।প্রথম প্রথম তো নিজ থেকে কোন চার্জ ছাড়াই অনেকের ছবি তুলে দিতাম।
আমার চিন্তা ছিল নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করা যেন কেউ আমাকে মনে না রাখলেও আমার কাজকে মনে রাখে।যখন ছবি নিয়ে অনেকেই ভালো রিভিউ দেওয়া শুরু করলো তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেকেই আমাকে বিয়ের ইভেন্ট করার প্রস্তাব দেয়।তবে তখন আমার ইভেন্ট করার জন্য নিজের কোন ক্যামেরাই ছিলো না। বন্ধুদের উৎসাহে আর নিজের মনোবল নিয়ে ২০১৪ সালে আমার এক বড় ভাই থেকে ক্যামেরা এনে প্রথম বিয়ের ইভেন্ট টা করেই ফেলি।আর সেই ইভেন্ট টা এতটাই ভালো হয় যে, ইভেন্টের চার্জ এর চেয়ে আরও ১০০০টাকা আমাকে বেশি দেয়।তখন থেকেই একের পর এক ইভেন্ট করতে থাকি।তারপর মনে হলো না আর অন্যের সেট দিয়ে চালানো যাবে না।তাই বাবার সাথে কথা বলে তার কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা নেই আর বাকি ২০,০০০টাকা দেয় আমার বন্ধুরা।এই ২০০০০টাকার মধ্যে কারও সেমিস্টার ফি,কারও জমানো টাকা ছিলো।প্রথমে পরিবারের কেউ ব্যপারটা সহজ ভাবে না নিলেও পরে সবাই ই সাপোর্ট করে।
এভাবেই ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমার পথচলা।এই পথচলায় অনেক উত্থান পতন ছিলো অনেক অনিশ্চয়তা ছিলো।কিন্তু দিনশেষে যখন পরিশ্রমগুলো জমাট বাঁধে তখন দেখতে পেলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের আমার প্রতি আমার কাজের প্রতি সম্মান আর ভালোবাসা।এখন প্রায় অনেকেই আমাকে আমার কাজ আর পেইজ নিলয় ফটোগ্রাফি দিয়ে চেনে।বিষয়গুলো ভালো লাগে,,,সবার আমার প্রতি বিশ্বাস আর ভালোবাসা দেখে নিজের কষ্টের সময়গুলো আর ভাবায় না।
ভবিষ্যতে আমার চিন্তা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যে কতগুলো ছোট বড় ইভেন্ট হউক না কেন তার জন্য আমার শহরের মানুষকে যেন বাহিরের ইভেন্ট প্লানার নিয়ে না আসতে হয়।তাই আমি নতুন পেইজ Zoomin Reflection শুরু করি।আশা করছি ভবিষ্যতে চাকরি করলেও তার পাশাপাশি আমি ক্যামেরা নিয়ে কাজ করে যাবো।আর Zoomin Reflection এর মাধ্যমে যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের সংযুক্ত করে কাজের ব্যবস্হা ও করবো ইনশাআল্লাহ।
বর্তমানে আমার নতুই এই পেইজটিতে খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি।সবার ভালোবাসায় এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।সবাই আমার নতুন পেইজের পাশে থাকবে এটাই প্রত্যাশা।।।আর সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তা আর আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।।।
Leave a Reply