নিউজ ডেস্ক।।
আজ ২৫ জানুয়রি। বাংলা সাহিত্যের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬তম জন্মবার্ষিকী। যশোরের সাগরদাঁড়ি কপোতাক্ষ নদের তীরে কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হাজার হাজার কবিভক্তের আগমনে মুখরিত সাগরদাঁড়ির নিভৃত পল্লী। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৫ জানুয়ারি সাগরদাঁড়িতে তার জন্ম। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন বেলা ২টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত আর মা জাহ্নবী দেবী।
এবারও কবির জন্মদিন ঘিরে এপার বাংলা-ওপার বাংলার সাহিত্যিক, রাজনৈতিক নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা চলছে। মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট রচয়িতা। প্রথম মহাকাব্য লেখেন মেঘনাদবধ। তার লেখা প্রহসন, পত্রকাব্য, ট্র্যাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িকে ১৯৮৭ সালে মধুপল্লী ঘোষণা করে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। মধুপল্লীর বিভিন্ন উন্নয়ন চলমান থাকার সময় ২০০১ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বদল হলে মধুপল্লীর উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যায়। মধুমেলা আয়োজনের সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, মধুসূদনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং মেলাকে বাঙালির চিরন্তন সংস্কৃতির রূপ দিতে সব ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এবারের মেলায় প্রায় ২ হাজার দোকানি তাদের পসরা নিয়ে বসেছেন। মেলায় মুক্তমঞ্চে যাত্রাপালা, মৃত্যুকূপে মোটরসাইকেল চালানো, সার্কাস ও জাদু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। কারু শিল্পীরা তাদের কাঠে খোদাই করা আসবাবপত্র নিয়ে আসবেন। মেলায় প্রতিদিন স্থানীয় ও ঢাকা থেকে আগত শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি মধুসূদন পদক প্রাপ্তদের সম্মাননা দেয়ার মাধ্যমে মেলা শেষ হবে।
কেশবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু সাইদ জানান, মেলায় সব রকমের অশ্লীলতা মুক্ত করতে এবং মধুভক্তদের নিরাপত্তা দিতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মধুসূদনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও তার স্মৃতিকে স্মরণ করতে ১৮৯০ সালে প্রথমবার কবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে মধুসূদন দত্তের স্মরণসভার আয়োজন করা হয় বলে মধুসূদন গবেষক কবি খসরু পারভেজ জানান।
Leave a Reply