সুমিত মন্ডল
এইতো সেদিন শিলাবতি নদীর জলে
পা ভিজিয়ে হেঁটে যেত
দুরন্ত এক কিশোর কাল
অর্ধেক চাঁদের মুখ ভেসে যেত
বাতাসের বেগে জলের স্রোতে , মনে হতো
শতাব্দীকাল আগে একটা হারিয়ে যাওয়া ডিঙি
ভেসে যায় দিক শূন্যে ।
আজ আর তেমনটা দেখিনা চোখের কাছে
শুধু দেখি গাছগুলো মাথা তুলে বেঁচে আছে
হৃদয়পুরের মাঠ জুড়ে …
খেলনাবটির শব্দ এখন বাড়ির ছাদে
একা একা ভিড় জমেনা আট বয়সের রান্নাঘরে
এখন কেবল সুখ ভেসে যায় জলের বুকে
অন্ধকারে ডুব সাঁতারে কিশোরেরা স্বপ্নে আসে ।
সেই দিনটা হয়ত কাছে এসে দাঁড়িয়েছে
ভেবেছিলাম আমাদের মুখোমুখি দেখা হলে –
তারপর একদিন বালুচর ধরে হেঁটে
পৃথিবীর কাছে ক্ষমা চেয়ে
ভেসে যাব এক অজানা গভীর স্রোতে
শুধু তোমাকে ভালোবেসে।
Leave a Reply