শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ঐতিহ্যবাহী আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের ৮৬ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিল আজ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কসবায় কৃষক সভা অনুষ্ঠিত রাজধানীতে ঐশী বাংলা জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন-২০২৫ সম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ভূইয়ার জানাযা ও দাফন সম্পন্ন কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নতুন ভর্তির মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আল্লামা মরহুম গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের
কসবার মেহারী গ্রামের ২৪৪ বছরের পুরনো ‘ভট্টাচার্য বাড়ি’ হতে পারে মহামূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রত্নসম্পদ

কসবার মেহারী গ্রামের ২৪৪ বছরের পুরনো ‘ভট্টাচার্য বাড়ি’ হতে পারে মহামূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রত্নসম্পদ

এস এম শাহনূর

এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘরের দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের বাড়ি নয়।এটি একই জেলার কসবা উপজেলার মেহারী গ্রামের মহেশ ভট্টাচার্যের বাড়ি।লোকমুখে ‘ভট্টাচার্য বাড়ি’ নামে সমধিক পরিচিত।
গত ৩১ অক্টোবর ২০২০, শনিবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম আচমকা বাড়িটি পরিদর্শন করেন।টিমের সদস্যগণ বাড়ির নির্মাণ শৈলী ও কাঠামোগত দিকগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় আলামত ও ছবি তোলে নিয়ে যান।বাড়িটি নিয়ে নতুন করে ভাবনা ও পরিদর্শন বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ড. আতাউর রহমান বলেন, “প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত পেলে এটিও হতে পারে রাষ্ট্রীয় প্রত্নসম্পদ।”
মেহারী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ আলী আজ্জম বলেন,১৯৬৮ সালে আনুমানিক ১০০ বছর বয়সে আমার চাচা হামিদুল্লাহ মুন্সি মারা যান।তাঁর পিতার নাম ছিল সবল্লা মুন্সি। হামিদুল্লাহ মুন্সি বলেন, আমার বয়স যখন ৭/৮ বছর তখনই শুনেছি ভট্টাচার্য বাড়ির এই সুন্দর বিল্ডিং গুলো আরো একশো বছর আগে তৈয়ার করা হয়।তখন গ্রামে আর কোনো বিল্ডিং ছিলনা।মহেশ ভট্টাচার্য অনেকগুলো তালুকের মালিক ছিলেন।জানা যায়,শিমরাইলের ফাটা বিল,ঘানার চক সহ আরো অনেকগুলো তালুক ছিল তার।তালুকের মালিক হলেও ছিলেন ছোটখাট জমিদার। মহেশ ভট্টাচার্যের আরেক ভাইয়ের নাম ছিল বীরেন্দ্র ভট্টাচার্য। তিনি ক্যালকাটা শহরে মদের ব্যবসা করতেন।কুমিল্লা শহরে এবং ক্যালকাটায় তাদের বাড়ি ছিল।সে সময় কসবা থেকে রেলপথে সপরিবারে তারা ক্যালকাটা আসা-যাওয়া করতেন।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই তারা সপরিবারে মেহারী ছেড়ে ক্যালকাটা চলে যান।তাদের পরিত্যক্ত তালুক,ঘর-বাড়ি আস্তে আস্তে রাঘর বোয়ালদের দখলে চলে যায়।
আমি লেখক নামগুলো উল্লেখ করছি না।তবে অনেকেই এসব সম্পত্তি দখল করে আঙুল ফোলে কলা গাছ হয়েছেন বলেও জানান ডাঃ মোঃ আলী আজ্জম।

মরহুম হামিদুল্লাহ মুন্সির দেওয়া তথ্যমতে, এই ভট্টাচার্য বাড়ির নির্মানকাল আনুমানিক ১৭৭৬ এর কিছুকাল আগে পরে।সেই হিসাবে এখন ২০২০ সালে বিল্ডিংটির বয়স প্রায় ২৪৪ বছর!

লেখক: এস. এম. শাহনূর
কবি ও আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD