নৃপেন চক্রবর্তী
জন্মকালীন তৃষ্ণা নিয়ে সেখানে যেতেই
গাছ-গাছালিরা কথা বলে উঠলো।
কতদিন পর শ্যাম ছায়া মাখা
সে এক পরম আশ্রয়।
পুরোনো মাটির ঘর,
ধানছড়া আঁকা আল্পনায় তকতকে উঠোন
পাখিদের ইচ্ছে আনাগোনা নিয়ে
পুরোনো ঘাস-বিচুলির সেই চেনা গন্ধটা!
গোয়ালঘরে গরুর জাবর কাটার শব্দে
পুরোনো মানুষজনের ছায়াছবি কথা।
“এ্যাই নৃপেন,বাছুরটাকে একবার
মায়ের কাছে ছেড়েই দেনা বাবা,
ওরও তো ইচ্ছে করে মায়ের দুধের গন্ধ পেতে।”
কথা বলতে বলতে পিসীমার হাত বঁটিতে
কলাই শাকের নিখুঁত কাটাকুটি তেমনই আগের মতন।
এর মধ্যেই এক টুকরো চেনা বাতাস
কোথা থেকে উড়ে এসে বলে গেলো,
“থেকে যা নৃপেন এইসব বন-বাদারের ছোঁয়া মেখে
আরও দু-চারটে দিন থেকে যা”।
এখানে বিশ্বাসী বাতাস এখনও শ্যাম গন্ধ নিয়ে
সারাদিন গল্প-কথা আঁকে……..!
থেকে যা নৃপেন,থেকে যা ,আরও দু-চারটে দিন।
……………..
Leave a Reply