রুদ্রভানু
মনে হচ্ছে অনেকটা উঁচুতে বসে আছি
কির্তনের, আজানের, স্তোত্রের গন্ধ বরাবর
আমার অবস্থান — নিতান্ত বালক স্বভাবে,
এই মেঘদূত ঠিকানা কোনোদিন কাউকে বলিনি
কতিপয় ভ্রামরীর এই পথে যাতায়াত আছে
আমার অস্তিত্ব তাহারা অনুভব করেনি এখনো
যদিও, তারা আসে মাঝে মাঝে একান্ত আবেগে
কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে, যে পথে এসেছিল
প্রায়শ সে পথেই ফিরে যায় নিজস্ব খেয়ালে
এখান থেকে দূরে রামচন্দ্রের বনবাস দেখা যায়
অশোকের কলিঙ্গ যুদ্ধের রক্তস্রোত কিম্বা –
বিনায়কের হিসাবের খাতার বিরাট বান্ডিল,
বিশ্বস্রবা মুনির যোগ-সাধনার পীঠ অথবা
চাঁদের মাটিতে গাঁথা তিরের ফলার মতো ধ্বজ,
নাসার উৎক্ষেপন করা প্রথম উপগ্রহ – – –
আরও দূর-দূরান্তের নানান ঘটন-অঘটন
নক্ষত্রের অকৃত্রিম উদ্ভাস আর লুকোচুরি গান
নীলগিরি – ডোডাবেত্তা, হিমালয় – এভারেস্ট
এতো কাছাকাছি চলে আসে এখানে, আশ্চর্য হই
ভাস্কো-দা-গামা, কলম্বাস, আমেরিগো ভেসপুচি
হাত উঁচু করে তাদের জয়ের উল্লাস জানায়
কোনোদিন আমার এরকম লুকিয়ে দেখা ওরা
প্রত্যক্ষ করেনি বলে, আকাশের ভেলায় চড়ে
আমি মাঝে মাঝে এখানে এসে বসি, গান গাই
আর খেলা করি মহাবিশ্বের অপ্রতুল ধনরত্ন নিয়ে
Leave a Reply