আফজাল হোসেন রিমন।।
গত দেড় বছর ধরে করোনা নিয়ে যতটুকু জানলাম, বুঝলাম তাতে আমার বিশ্বাস এখন এখানে এসে দাঁড়িয়েছে যে-
যারা একদমই ঘর থেকে বের হননি, সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন, তাদের বেশির ভাগই যখন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাহলে এটাই প্রমাণিত হয়- করোনা থেকে বাঁচার জন্য লকডাউন সমাধান না। আমি মনে করি মানুষকে এখন স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরিয়ে আনা উচিৎ। সবকিছু খুলে দেয়া উচিৎ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পরিষ্কার থাকা, হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায়ে রাখতে হবে। রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী প্রত্যাক নাগরিকের বাধ্যতা মুলক মাস্ক পরতে হবেই।গনহারে সবাইকে টিকা নিতে হবে।
এভাবে ঘরে বসে থেকে প্রতিটি মানুষ মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, গেছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মধ্যবিত্তকে মানুষিকভাবে মেরে ফেলছে। দেশে দারিদ্রাতার হার বেড়ে যাচ্ছে। শ্রেণী বৈষম্য মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।অংসখ্য ছেলে মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে পরছে।মহামারী থেকে দুর্বিক্ষ, দুর্বিক্ষ থেকে ভয়াবহ সংঘাত তৈরি হয়। সেই দিকে যাচ্ছে। অথবা পৌঁছে গেছে।
মোদ্দা কথা- সবাইকেই এই রোগের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সবাই যেন বাঁচতে পারে তার জন্য শারীরিকভাবে শক্ত হতে হবে।নিয়মিত ব্যয়াম করতে হবে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যা যা করনীয় সেগুলোকে অভ্যাসের মধ্যে আনতে হবে। অভ্যাসের মধ্যে সবাইকে আনানোর জন্য যা যা করনীয় সেগুলোও করতে হবে। তবেই মুক্তি।মহান সৃষ্টিকর্তার উপর একমাত্র ভরসা রাখতে হবে।
আবারও বলছি- এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা। কোনও দলিল না। আপনি আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন।
আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
কসবা উপজেলা।।
Leave a Reply