আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে কোরবানীর ঈদে গরু বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারীরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের এবার মূলধন উঠানোই দায়। এছাড়া রয়েছে ভ্যাকসিন সংকট। এ অবস্থায় কি করবেন বুঝে উঠেতে পারছেননা তারা। এ অবস্থায় কোরবানীর কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হাট বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ঝালকাঠি জেলায় ১ হাজার ৬শ ৩৮টি খামারে ১১ হাজার ৫শ ১৯টি গরু ছাগল রয়েছে। এবারের কোরবানীর ঈদে এসব গরু ছাগল বিক্রি নিয়ে চিন্তিত খামারীরা। করোনা পরিস্থিতি মঙ্কাজনক হওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় হাট বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় কিভাবে গরু বিক্রি করবেন বুঝে উঠতে পারছেননা খামারীরা।
খামারীরা জানান, গত এক বছর কোরবানীর জন্য খামারে অনেক টাকা খরচ করে পশু পালন করে আসছন। এখন করোনার কারণে গরু বিক্রির ক্রেতা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে তারা দু:চিন্তায় পড়েছেন। কেউ কেউ অনলাইনে গরু বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে সারা পাওয়া যাচ্ছেনা। এছাড়া গরুর ভ্যাকসিনও তারা ঠিকমত পাচ্ছেননা বলে জানান খামারীরা।
তবে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোহম্মদ ছাহেব আলী জানান, অনলাইনে গরু বিক্রির জন্য প্রতি উপজেলায় ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। এছাড়া কোরবানীর কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্যবিধী মেনে জেলায় অন্তত ১০টি হাট বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
Leave a Reply