রাকিব মাহমুদ, শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহের পর বর্ষার আগমনে জনজীবন যেন ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ। বর্ষার সাথে তাল মিলিয়ে বৃষ্টিও তার আগমন জানান দিচ্ছে। সেই সাথে বাড়তে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের নদনদীর পানি।বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন হল ছোট নৌকা। পানি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে নৌকার চাহিদা।তাই ব্যস্ত সময় পার করছে শাহজাদপুরের নৌকা তৈরির কারিগররা।
বর্ষা শুরু হতে না হতেই প্লাবিত হতে শুরু করেছে এই অঞ্চলের নিচু এলাকা। বর্ষাকে মোকাবেলা করতে ও আগাম প্রস্তুতি নিতে তাই ঘরে ঘরে চলছে নৌকা তৈরির ধুম।ছোট বড় অসংখ্য নৌকা তৈরি হয় এই মৌসুমে।নতুন নৌকা তৈরির পাশাপাশি চলছে পুরাতন নৌকার মেরামতও।সারা বছর নৌকার তেমন একটা চাহিদা না থাকলেও এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করে এই অঞ্চলের নৌকা তৈরির কারিগররা। এই সময়টাতে যেন এই কারিগরদের নিশ্বাস ফেলার ও সময় পায়না।সারা বছর কাজ না থাকায় বর্ষার এই মৌসুমটার অপেক্ষায়ই থাকে শাহজাদপুরের এই কারিগররা।
অনেক কারিগর আবার রেডিমেড নৌকা তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করে বিভিন্ন হাটে।এসব হাটে নতুন নৌকার পাশাপাশি বিক্রি হয় পুরাতন নৌকাও।বর্ষার সময় শাহজাদপুরের এইসব নৌকার হাট যেনো তাদের প্রাণ ফিরে পায়।রঙ বেরঙের নৌকায় এসব হাট দেখতেও মনোমুগ্ধকর ।শাহজাদপুরের বাইরে থেকেও আসে নৌকা ও ক্রেতা।বর্ষার এই মৌসুমে জমে ওঠে এসব হাট।
সরেজমিনে শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকা ও বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কারিগররা ছোট বড় নানান রকম নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত।কেউ কাটছে কাঠ, কেউ রং করছে, আবার কেউবা হাতুড়ি দিয়ে তারকাটা লাগাতে ব্যস্ত ।অনেকে আবার গল্প করতে ব্যস্ত নৌকা তৈরির কারিগরদের সাথে।কাজের ফাকে এসব কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায় শিমুল,কাঠাল,ইউকালেক্টার,কদমসহ বিভিন্ন কাঠ দিয়ে তৈরি হয় নৌকা।একটি মাঝরি নৌকা তৈরি করতে সময় লাগে ২ দিন।আকার বুঝে
এসব নৌকার দাম।একজন কারিগর জানায়, সাড়া বছর আমাদের তেমন কাজ থাকেনা আমরা এই মৌসুমের অপেক্ষায় থাকি।এই মৌসুমে চাহিদাও আমাদের অনেক বেশি।আমাদের তৈরি এসব নৌকা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে ক্রেতারা ক্রয় করে এসব নৌকা।
নিচু অঞ্চলের মানুষেরাই বেশি ক্রয় করে আমাদের তৈরি এই নৌকা।
Leave a Reply