বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
সুবর্ণচরে করলা চাষে কোটিপতি সবুজ

সুবর্ণচরে করলা চাষে কোটিপতি সবুজ

ইব্রাহিম খলিল শিমুল, নোয়াখালী।

নোয়াখালী সুবর্ণচরে করলা চাষে কোটিপতি হলেন সফল উদ্যোগক্তা মোঃ জয়নাল আবেদিন সবুজ। সে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চর হাসান গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তারা এক ভাই পাঁচ বোন আর বাবা-মা নিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরিবারে সুখের চাকা ঘুরাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সবুজ স্নাতক শেষে শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষায় পাশ করে স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতা করবেন। রাজনৈতিক কারণে চাকরি হয়নি। কিন্তু এক সময় বেকার ছিলেন সবুজ। আজ তার অধীনে ১০-১৫ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান।

এছাড়াও তিনি পড়ালেখা শেষ করে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে ভালো মানের চাকরি না পেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেন।

কিন্তু সংসারের খরচ মেটাতে না পেরে নিজে উদ্যোগক্তা হবার স্বপ্ন দেখেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেল দেখে করলা চাষের প্রতি আগ্রহী হোন।

পরিবারে অসম্মতি থাকলেও প্রথম বছরেই ১লাখ টাকা পুঁজিতে ৭ লাখ টাকা লাভ হয় সবুজের। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। পরিবারের পুরো সমর্থনে ব্যাপক আকারে করলার চাষ শুরু করেন সে।

মাদ্রাসার চাকরি ছেড়ে এবার নিজের সবজি খামারে তার বাবা মোঃ ইসমাইল হোসেন’সহ কিছু সংখ্যক কামলা নিয়ে সবুজ দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে।

পরিশ্রমী চাষী জয়নাল আবেদীন সবুজ জানান, গত বছর ৪০ শতাংশ জমিতে ১ লক্ষ টাকা খরচ করে ৭ লক্ষধিক টাকার করোলা বিক্রি করেছি। কিন্তু চলতি বছরে প্রায় ৩.২ একর জমিতে করলার চাষে প্রায় ৫ লক্ষধিক টাকা খরচ হলেও ৪০-৪৫ লাখ টাকার করোলা বিক্রি হবে আশাকরছি। তবে এর শুরুতে ৩ লক্ষ টাকার করোলা বিক্রি সম্পন্ন করেছি।

তিনি আরো বলেন, করলা চাষে লাভ্যাংশের ৮০ লক্ষ টাকা খরছ করে বাড়িতে দোতলা ঘর করেছি, ৫০ লাখ টাকায় স্থানিয় একটি বাজারে তিন তলা দোকান ভিটে কিনেছি, ৮০ শতাংশ জমি ১৬ লাখ টাকায় কিনেছি। ১১টি গরু’সহ দশ বছরে মোট ২ কোটিরও বেশি টাকার লাভবান হয়েছি। এছাড়াও বোনদের বিয়েতে বড় পরিসরে আয়োজন করে করলার লভ্যাংশের টাকা দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছি।

স্থানিয়রা জানান, একক ভাবে এতো বড় করোলা চাষ বৃহত্তর নোয়াখালীতেও নেই। সবুজের এমন করোলা চাষ দেখে অন্যান্যরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এতো পরিসরে চাষ করায় সরকারী ভাবে সফল উদ্যোগক্তা হিসেবে পুরস্কৃত করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হারুন অর রশীদ জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে সুবর্ণচরে প্রায় ৭’শত ৫০ একর জায়গায় করলার আবাদ হয়। এবং উপজেলার জাহাজ মারা বল্কের কৃষক সবুজ অন্যতম একজন। চলতি বছরে প্রায় প্রায় ৩.২ একর জায়গায় করোলার আবাদ করে ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবে বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, একজন সফল করলা চাষী। সে আধুনিক পদ্ধতিতে বাঁশের সাহায্যে উপরে জাল দিয়ে এই চাষ করেন। স্বাভাবিকের তুলনায় তিনগুন বেশি ফলন পাচ্ছে। সে শিক্ষিত যুবক হওয়ায় অল্প সময়ে সফলতা পেয়েছেন।

তার উৎপাদিত সকল করলা কুমিল্লার নীম সাত বাজারে সরাসরি পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD