”
নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
————
এসে গেলো আরেকটি পঁচিশে বৈশাখ –
হে রবিঠাকুর, তোমার জন্মদিন।
তবে একি শুধু জন্মদিন!
শুধু জন্মদিন বলবো না একে ,
এযে এক জন্মোৎসব।
এদিন এক সাগরকে সরবে ছুঁয়ে দেখার দিন-
নীরবে অন্তরের অন্তস্থলে,
সেই সূর্যকে স্পর্শ করতে চাওয়ার প্রচেষ্টায়
আত্মমগ্নতায় বিলীন হয়ে যাবার দিন!
যে উৎসবে, সংস্কৃতির সব ধারা,
নদী হয়ে মিশতে চায় , ছুঁতে চায় এক সাগর –
মহাসাগরীয় গভীরতায় এক হিল্লোল তুলে।।
পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ,
আবার নতুন বছরের প্রথম দিন,
তোমাকে ঘিরে ভালবাসা আর শ্রদ্ধার প্রস্রবণ।
পুস্তস্তবক, আর মালাতে তোমার ছবি ঢাকা-
প্রভাতফেরী, পথ পরিক্রমা, অনুষ্ঠান, নাটক,
আর তোমার গান আর কবিতার বাহুবন্ধনে
এক অনন্য আবহে বিদ্যমান আজকের
আরেকটি পঁচিশে বৈশাখ-
সব পঁচিশে বৈশাখ, নববর্ষ,
আর শ্রাবণের বাইশে
যেমন অন্য সব বছরেও হয়-
তেমন রঙিন,আর ছন্দময়,আজও তেমন করে।
আমি তোমাকে পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ,
নববর্ষের প্রথম দিন শুধু নয়,
ওই তিনটে দিনের বাইরে,
সারাটি বছর বড় আপন করে পাই-
একেবারে নিজের মতো করে ;
কখনও জাগরনের রাত ভোর করে,
স্নিগ্ধ, শান্ত উষার বুকে
কখনও সন্ধ্যার মেঘমালায়-
রঞ্জন- নন্দিনীর প্রেমের সুধায় ব
অমিত- লাবন্যর মননের স্পন্দনে,
কখনো বা সুধা আর অমলের আলোয়,
তোমার উপস্থিতি এক অনন্য জীবনদর্শন –
কখনও বা হতাশার অন্ধকারে জোনাকি হয়ে
পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছো –
জীবনের প্রতি মুহূর্তে তুমি অনন্য,
বিরহে, বেদনায়, মরণে,আনন্দে, হৃদয়ের দাবানলে
তুমি পরিত্রাণের ঢাল নিয়ে,
বাঙ্ময় তুমি কবিগুরু।।
——
নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গ,
কলকাতা
ভারত
Leave a Reply